অনুপ সিংহ,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
অভাব-অনটনের সংসার আর চলছিলনা। এদিক সেদিক হাত পেতে কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। শনিবার থানার ওসির রুমে প্রবেশ করে প্রতিবন্ধী কুদ্দুছ আর্থিক সহযোগিতা চান। মানবিক ওসি গিয়াস উদ্দিন তার কথাবার্তা শুনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। অবশেষে সোনাইমুড়ী থানার মানবিক ওসির সহযোগীতায়‘পান দোকান’ পেলেন সহায়-সম্বলহীন শারীরিক প্রতিবন্ধী আব্দুল কুদ্দুছ।
বুধবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার সোনাইমুড়ী বাজারে ধানের গলির মাখতুম হোটেলের সামনে পান দোকানটি উদ্ভোধন করেন ওসি গিয়াস উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সোনাইমুড়ী প্রেস ক্লাব সভাপতি খোরশেদ আলম, এএসআই আরমান, পুলিশ, সাংবাদিক সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উপজেলার নদনা ইউনিয়নের আবুল কালামের পুত্র শারীরিক প্রতিবন্ধী আব্দুল কুদ্দুছ(৫৫) ২ মেয়ে ও ১ স্ত্রী নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। তার বড় মেয়ে স্মৃতি সোনাইমুড়ী সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীতে ও ছোট মেয়ে ইতি সোনাইমুড়ী হামিদিয়া কামিল মাদ্রাসায় ৪র্থ শ্রেণীতে অধ্যায়নরত। কুদ্দুছ সোনাইমুড়ী বাজারে নৈশ্য প্রহরীর চাকুরী করে একদিকে সংসার চালানো, অন্যদিকে সন্তানদের পড়া-লেখার খরচ চালানো তার পক্ষে ছিল অসম্ভব । ইতিপূর্বে তার শারিরীক সমস্যার কারনে নৈশ্য প্রহরীর চাকুরী চলে গেলে সে দিশেহারা হয়ে পড়ে। গত শনিবার তার ২ মেয়ে নিয়ে সোনাইমুড়ী থানায় গিয়ে ওসির কাছে আর্থিক সহযোগিতা চান। ওসি গিয়াস উদ্দিন তার জীবনের গল্প শুনে তাকে নগদ অর্থ প্রদান করে। পরে তাকে সোনাইমুড়ী বাজারে ধানের গলি রোডে মাখতুম হোটেলের সামনে নিজ অর্থায়ানে পানের বাক্স তৈরি করে, পুঁজি দিয়ে ব্যবসার ব্যবস্থা করে দেন।
ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, তার আর্থিক অসচ্ছলতার কথা শুনে তিনি সহযোগিতা করেছেন। তিনি সমাজের বৃত্তবানদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।
প্রতিবন্ধি আব্দুল কুদ্দুছ জানান, ওসির সহযোগিতায় তার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। তার দুই মেয়ের পড়া লেখার সুযোগ হয়েছে।তিনি মানবিক ওসি গিয়াস উদ্দিনের র্দীর্ঘায়ু কামনা করেন।