কক্সবাজার প্রতিনিধি:
তৃতীয় দফায় স্বেচ্ছায় আরো প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাসানচরে যেতে রাজি হয়েছেন। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবির থেকে তারা আজ বৃহস্পতিবার ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়ার কথা রয়েছে।
নোয়াখালীর ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক এসব রোহিঙ্গা ইতিমধ্যে উখিয়া কলেজ ও কক্সবাজার -টেকনাফ সড়ক সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রাম জেটি ঘাটে নিযে যেতে অর্ধ শতাধিক বাস ও মালবাহী গাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা বলেছেন, উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবিরে রয়েছেন ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গা। এসবের মধ্যে ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গারা সংশ্লিষ্ট শিবিরে দায়িত্বরত সরকারি কর্মকর্তার (সিআইসি) নিকট তালিকা জমা দিয়েছেন। কুতুপালং ডব্লিউ ফোর ইস্ট ক্যাম্পের ১৩০ পরিবার রোহিঙ্গা তাদের তালিকা স্ব-ইচ্ছায় ভাসানচরে যাওয়ার জন্য নাম দিয়েছে বলে রোহিঙ্গা শেড মাঝি সৈয়দ হোসেন জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা বর্তমানে ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৬ জন। এই হিসাব ২০২০ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে ৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৪১ জন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। সরকার ইতিমধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত দুই দফায় ৪০৬টি পরিবারকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে দেশে কাজ করছে প্রায় ১৮০টি দেশি-বিদেশি এনজিও। এর মধ্যে নানা কারণে কয়েকটি এনজিওর কার্যক্রম রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর দুপুরে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে স্থানান্তরের প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গিয়েছে।
এরপর ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরে গিয়েছে ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা। এ নিয়ে দুই দফায় ৩ হাজার ৪৪৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরের নতুন ক্যাম্পে নেওয়া হলো।