মো: মুক্তার হোসেন,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার এক নারীর (২০) শরীরে ঘুমন্ত অবস্থায় বিষাক্ত কেমিকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার ১৯ আগস্ট দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার নামোদুরখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই নারীকে (২০) দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি নাটোর সদর উপজেলার সিংগাদহ গ্রামের বাসিন্দা। দুর্গাপুরের নামোদুরখালীতে তার নানার বাড়িতে বসবাস করেন। বিয়ের এক মাসের মাথায় তার স্বামী তাকে তালাক দেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, তালাক দেওয়ার পর আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। সেই মামলা তুলে নিতে সাবেক স্বামী তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন। তিনিই এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভুক্তভোগী নারী জানান, প্রায় এক বছর আগে দুর্গাপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের কাওসার হোসেনের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের একমাস পরই কাওসার হঠাৎ তাকে তালাক দেন। পরে তিনি আদালতে কাওসারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
তিনি আরও জানান, স্বামীর তালাক পাওয়ার পর থেকেই তিনি নাটোরে বাবার বাড়িতে ছিলেন। গত ঈদ-উল-আযহার আগে তিনি নানীর বাড়িতে বেড়াতে আসেন এবং এখানে থাকছিলেন। বুধবার রাতে তিনি নানীর সাথে ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। রাত আনুমানিক ২টার দিকে সুঁতায় প্লাস্টিকের বোতল বেঁধে জানালা দিয়ে তার গায়ে কিছু একটা নিক্ষেপ করা হয়। মূর্হতেই তার শরীর ফুঁসকা পড়ে জ্বালা-যন্ত্রণা শুরু হয়। পরে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, বিষাক্ত ওই পদার্থের কারণে ওই নারীর শরীরে কালো দাগ ও মাথার চুলও খসে পড়ছে। তবে তার শরীরে ঠিক কী নিক্ষেপ করা হয়েছে, সেটা পরীক্ষার পর নিশ্চিত করে বলা যাবে। এটা অ্যাসিডও হতে পারে অথবা তীব্র খার জাতীয় কিছু হতে পারে।
এদিকে, খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) সকালে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খুরশীদা বানু কনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ভিকটিমের সাথে কথা বলেছেন। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।