নিজস্ব প্রতিবেদক♦♦
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর-রুনি মিলনায়তনে মোঃ আমির হোসেন, স্ট্যান্ডার্ড হোডিংস লিঃ এর পরিচালক, সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মোঃ আমির হোসেন। তিনি বলেন, উদ্দেশ্য প্রতারক আমিনুল ইসলাম বিভিন্ন জাল জালিয়াতি করে আমাদের সহ অন্যান্য বড় বড় ব্যবসায়িদেরকে বিভিন্ন কূট কৌশলে জিম্মি করে মামলা মোক্কাদার মাধ্যমে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেয় এবং আমাদেরকে তার কূট কৌশলের ফাঁদে ফেলে সমাপ্ত হিসাব বিবরনীর মধ্যে একটি মাত্র কাগজে তার নিজের স্বাক্ষর নিজে টেম্পারিং করে একটি তদন্ত সংস্থা থেকে গোপনে কোন তদন্ত ছাড়াই তার পক্ষে রিপোর্ট তৈরী করে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে এবং আমাদের পাওনা তার নিকট ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা (এন আই এ্যক্ট এর মামলাধীন) না দেয়ার উদ্দেশ্যে ও আমাদের সুনাম ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে অপ-প্রচার চালানো হচ্ছে। আমরা এইসব বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানাই। ভাই ভাই ট্রেডার্স এর মালিক মোঃ আমিনুল ইসলাম ও তার ভাই এরশাদ আমাদের আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ করে আবার তাদের বিরুদ্ধেই একই ভাবে বিভিন্ন হয়রানিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করে এবং মিথ্যা মামলা করে। আপনারা তার ও তার ভাইয়ের এরশাদ আলী পূবের ইতিহাস পর্যালোচনা করলেই দেখতে পাবেন যে তারা অন্যের সম্পদ ও ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করে রিক্সা চালক থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। আমাদের জানা মতে আমিনুল ইসলাম বিভিন্ন মামলায় কারাগারে ছিলেন এবং তার বড় ভাই কারাগারে আছে একই মামলায়। গত ২৫ আগষ্ট তার পূর্বে একটি বিচারাধীন মামলা সম্পর্কে বেআইনি ভাবে হাইকোর্টে অপসংবাদ পরিবেশন করে আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা অপবাদ দিয়েছেন। যা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে পবিত্র আদালত চত্বর ব্যবহার করে বিভিন্ন আইন তদন্ত সংস্থা ও মহামান্য বিচারপতিদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন যা অত্যান্ত ঘৃনীয় অপরাধ । আমরা তাহার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি। আরবিট্রেশন মামলায় বিচারপতিগন পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বিচার বিশ্লেষন করে স্ট্যান্ডার্ড হোডিংস লিঃ এর আবেদনের পক্ষে রায় প্রদান করেন। তাহার করা বিভিন্ন মিথ্যা মামলার ফলাফল তাহার পক্ষে যাবেনা মেনেই বিচার কার্য চলা অবস্থায় বিভিন্ন সংবাদ সম্মেলন করা নৈতিকতা বিরোধী ও আদালতের প্রতি অসম্মান না করার সামিল। ১৪ কোটি টাকা আমাদের নিকট পাবে দাবি করিতেছে সে ব্যাপারে আপনাদের সুস্পষ্ট ধারনা জ্ঞাপন করিতেছি। সে মূলত তার কাছে আমাদের পাওনা ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা (যাহা NI Act এ মামলা করা হয়েছে) না দেওয়ার উদ্দেশ্য এই টাকার দাবি করিয়া মামলা করিয়াছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ টাকাই উভয় পক্ষের যৌথ সম্মতি সাপেক্ষে তার ভাই ভাই ট্রেডার্সের নামে নেওয়া work order এর বিপরীতে বিভিন্ন construction কোম্পানিতে মালামাল ( Stone clips,Sand Etc.) Supply করা হইয়াছে৷ উক্ত মালামাল এর মূল্য বাবদ বিভিন্ন construction company তার ভাই ভাই ট্রাডার্স নামে cheque এবং ব্যাংক ট্রান্সফার এর মাধ্যমে বিল গুলো পরিশোধ করে। তখন আমিনুল ইসলাম তার ভাই ভাই ট্রেডার্স থেকে Joint Venture A/C এ টাকা ট্রান্সফার করে Cheque and RTGS এর মাধ্যমে] এখানে মূল্যবান বিষয় হচ্ছে এই টাকা গুলো উভয় পক্ষের joint signature এ বিভিন্ন construction Company তে মালামাল দেওয়ার উদ্দেশ্যে খরচ হইয়াছে। JV A/C এ ভাই ভাই ট্রাডাস পক্ষে মো: আমিনুল ইসলামের স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক ছিল । এখানে আরো উল্লেখ্য, ভাই ভাই ট্রেডার্স এর নামে Work- Order এ কেন joint venture company হইতে মালামাল supply করেছেন। যেহেতু আমিনুল ইসলাম মূলত (JV) কোম্পানির Marketing করিত তাই সে উদেশ্য প্রনোদিত হয়ে বা অসৎ উদ্দেশ্য তার কোম্পানি নামে work order আনত । আর বলত যে, joint venture company যেহেতু নতুন, তার কোম্পানি পুরনো, তার কোম্পানি সবাই চিনে, তাই তার কোম্পানির নামে work order আনা সহজ এবং আমরা সরল বিশ্বাসে তার কথা মেনে নিয়ে মালামাল সরবরাহ করতাম এবং সে যেহেতু মালামালের বিল পাওয়ার পর joint venture A/C টাকা ট্রান্সফার করে। তাই এভাবেই আমরা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলাম ।