আরিফুল ইসলাম জিমন ◊◊◊
দেশে চলমান পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগে প্রতারণার অভিযোগে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে শামীম (৩৮) নামে প্রতারক চক্রের এক সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩ টায় ঘোড়াঘাট থানায় এক প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন, ঘোড়াঘাট-হাকিমপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম। গ্রেপ্তারকৃত শামীম গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার সিধন গ্রামের আব্দুল গফুর মিয়ার ছেলে।
প্রেস কনফারেন্সে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, মামলার বাদী ঘোড়াঘাট মহিলা কলেজের একজন কর্মচারী। প্রতারক শামিম মিয়া এলাকায় চলাফেরা করা কালে বাদীর সহিত তাঁর পরিচয় হয়।
এরই সুবাদে শামীম বাদিকে জানান, সে সরকারী কর্মচারী এবং বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহিত তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। সে টাকার বিনিময়ে অনেকের চাকুরী নিয়ে দিয়েছেন।
বাদী আসামীর কথা বিশ্বাস করে ছেলে ফয়সালের পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরীর জন্য গত ০৫/০২/২০২৩ইং তারিখে ১ লক্ষ ৫ হাজার ৫ শত টাকা প্রদান করেন। প্রতারক শামীম এ সময় বাদীর ছেলেকে কনস্টেবল পদে চাকুরীর সিল স্বাক্ষর সম্বলিত একটি ভুয়া সুপারিশ পত্রও প্রদান করেন।
এ ঘটনার পর নিয়োগের তারিখ অনুযায়ী বাদীর ছেলে দিনাজপুর পুলিশ লাইনে উপস্থিত হয়ে চাকুরী না পেয়ে ফেরত আসে। পরবর্তীতে বাদী বিষয়টি শামীমকে জানালে সে পুরোপুরি আবারও আশ্বাস প্রদান করে। কিন্তু বাদী প্রতারক শামীম মিয়ার কথাবার্তা ও কার্যকলাপ দেখে তাঁর বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে সে একজন প্রতারক এবং সে বিভিন্ন জায়গায় সরকারী কর্মচারীর ছদ্দবেশ ধারন করে অনেকের নিকট চাকুরী দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন।
এ ব্যাপারে সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে আজ ৯ ফেব্রুয়ারি ঘোড়াঘাট থানায় ১টি মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক দিনের মধ্যেই প্রতারক শামীম মিয়াকে তাঁর শশুর বাড়ি ঘোড়াঘাট পৌরসভার নয়াপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করে।
জানতে চাইলে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম জানান, প্রতারক শামীম মিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তাঁকে আজ বিকেলে দিনাজপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।