বন্দর প্রতিনিধি: ইন্টারনেট ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতা ফয়সালসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় ইন্টারনেট ব্যবসায়ীসহ ৩ জন গুরুত্ব জখম হয়েছে। ওই সময় হামলা কারিরা নগদ ৫২ হাজার টাকা একটি মোবাইল সেট ও ১টি সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয়। সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলো সানী (৩০) রুহিত (২২) ও তানভির (২৫)। স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করেছে। গত ৫ আগষ্ট বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় বন্দর থানার সোনাকান্দা এনায়েতনগর এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ বন্দর থানায় পৃথক দুইটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ ব্যাপারে আহত ইন্টারনেট ব্যবসায়ী সনি গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, সোনাকান্দা সরদারবাড়ী এলাকার জনৈক খোরশেদ আলম মিয়ার ছেলে তানভীরসহ আমরা কয়েকজন মিলে র্দীঘ দিন ধরে সোনাকান্দা নোয়াদ্দা ও এনায়েতনগর এলাকায় ইন্টারনেটের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। নেট ব্যবসা শুরু করার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে বন্দর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্ল্যাহ সানু কাকার ভাতিজা ফয়সাল আমার কাছে টাকা পয়সা দাবি করে আসছে। আমি টাকা পয়সা না দিয়ে তালবাহানা করলে এতে ফয়সালসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে রাতের আধারে আমার নেটের তার কেটে নিয়ে যায় তারা। এতে গ্রাহকরা নেট সেবা না পেয়ে আমাকে ফোন জানালে আমি গত বুধবার বিকেলে ৫টায় তার নিয়ে সোনাকান্দা এনায়েতনগর এলাকায় আসলে ওই সময় উৎপেতে থাকা ফয়সাল ও তার ভাই ফরহাদ একই এলাকার পান্না, সাদ্দাম, মৃদুল ও মমিনসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন সন্ত্রাসী আমার উপর ও আমার সাথে থাকা সোনাকান্দা সরদারবাড়ী এলাকার খোরশেদ আলম কাকার ছেলে তানভীর ও একই এলাকার রিপন মিয়ার ছেলে রুহিতের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারিরা আমাদেরকে বেদম ভাবে পিটিয়ে কুপিয়ে জখম করে নগদ ৫২ হাজার টাকা ১টি মোবাইল সেট ও ১টি গলার চেইন ছিনিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ছাত্র সমাজ নেতা ফয়সালের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে উভয় পক্ষ বন্দর থানায় পৃথক দুইটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কাজ অব্যহত রেখেছে বলে জানা গেছে।