বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে গৃহবধূ মুন্নী ইসলাম (৩২) এর ঝুলান্ত লাশ উদ্ধার করেছে মদনগঞ্জ ফাঁড়ী পুলিশ। ২০ জুন (শনিবার) দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের পূর্ব হাজীপুর এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে র্মগে প্রেরণ করে পুলিশ। তবে নিহতের পরিবারের দাবি ২য় বিবাহের অনুমতি না দেওয়ার কারনে পাষান্ড স্বামী আব্দুল কাইয়ুম গৃহবধূ মুন্নী ইসলামকে শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করার কারনে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এ ব্যাপারে নিহত গৃহবধূর বড় ভাই রাজু আহাম্মেদ বাদী হয়ে ঘটনার ওই দিন বিকেলে বন্দর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, র্দীঘ ১৩ বছর পূর্বে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের পূর্ব হাজীপুর এলাকার নুর ইসলাম মিয়ার মেয়ে মুন্নী ইসলামের সাথে একই এলাকার মৃত মহিউদ্দিন মিয়ার ছেলে আব্দুল কাউয়ুমের ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের ১৩ বছর সংসার জীবনে তাদের সংসারের কোন সন্তান ছিল না। সন্তান না থাকার কারনে গত ৫ বছর পূর্বে ওই দম্পত্তী পালক হিসেবে ১টি কন্যা সন্তান এনে লালন পালন করে আসছে। ১৩ বছর সংসার জীবনে ওই দম্পত্তী ওরশে কোন সন্তান না থাকার কারনে প্রায় সময় এ নিয়ে স্বামী আব্দুল কাইয়ুমের সাথে তার স্ত্রী মুন্নী ইসলামের ঝগড়া বিবেদ লেগে থাকত। এ ছাড়া স্বামী কাইয়ুম মিয়া ২য় বিবাহের জন্য স্ত্রী মুন্নী ইসলামের অনুমতি পাওয়ার জন্য তাকে নানা ভাবে নির্যাতন করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় ২০ জুন (শনিবার) বেলা ১২টায় মনের ক্ষোভে সিলিং ফ্যানের সাথে দড়ি দিযে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার ঘটনার পর থেকে স্বামী, ভাসুর ও তার স্ত্রী পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে নিহত গৃহবধূর পিতা নূর ইসলাম গনমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছে, আমার মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার পর লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ঘাতক কাইয়ুম আমার মেয়েকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে আসচ্ছে। নির্যাতনের ঘটনা স্থানীয় এলাকাবাসী অবগত আছে। আমি এদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ রফিকুর ইসলাম জানিয়েছে, এলাকাবাসীর মাধ্যমে মদনগঞ্জ ফাঁড়ী পুলিশ সংবাদ পেয়ে গৃহবধূর ঝলান্ত লাশ উদ্ধার করে র্মগে প্রেরণ করেছে। এ ব্যাপারে নিহত গৃহবধূর বড় ভাই বাদী হয়ে বন্দর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। ময়না তদন্তের রির্পোট হাতে পাওয়ার পর বুঝা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা। আমরা আত্মহত্যার বিয়টি খতিয়ে দেখছি।