মো: মুক্তার হোসেন, রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহী বাঘা সান্টু আলী (৪০) তিনি একজন ব্যাবসায়ী, সাংসারিক জীবনে তার ৩ টি পুত্র সন্তান রয়েছে। সান্টু আলী রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পীরগাছা মধ্য পাড়া গ্রামের মৃতঃ তাহের উদ্দিনের ছেলে। তার স্ত্রী শিউলি বেগম (৩০)।সান্টু উপজেলার তেঁথুলিয়া বাজারের চার রাস্তার মোড়ের পূর্ব পার্শ্বে ফুটপাতে দীর্ঘদিন
সাপ্তাহিক হাট শুক্র ও সোমবারে ভ্রাম্যমাণ ফল ও মিষ্টি জাতীয় পন্যের দোকান নিয়ে ব্যবসা করতেন। গত (০৯ আগস্ট) রাত আনুমানিক ৯:৩০ মিঃ এর সময় পীরগাছা বারোভাগিয়ার মোড়ে স্থানীয় লোকজন তাকে ঘুরতে দেখে। পারিবারিক সুত্রে জানাযায়, রাতের খাওয়া শেষে তারা সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। তার স্ত্রী সকাল ছয়টায় ঘুম থেকে উঠে পাশের ঘরে উকি দিলে তার স্বামীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। মৃতঃ সান্টু’র স্ত্রী শিউলি বলেন, সে ঘরে প্রবেশ করলে দেখতে পান তার স্বামী গলায় হলুদ রং এর একটি ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। স্বামীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তিনি ভয়ে আতঙ্কে তড়িঘড়ি করে হাসুয়া দিয়ে গলায় পেঁচানো ওড়না কেটে দেন এবং তার স্বামীকে শুইয়ে রাখেন। এ সময় তার চিৎকারে এলাকার লোকজন জড়ো হয়। স্থানীয় লোক মারফত খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছায়। সরেজিনে গিয়ে দেখা যায়, লাশের গলায় মোটা কালো রং এর দাগ রয়েছে। বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান (শফিক) বলেন, মৃত সান্টু ‘র শশুর মুক্তিযোদ্ধা বেশার উদ্দিন মোবাইল যোগে আমাকে জানালে আমি ঘটনাস্থলে যায়। সিন্টোম দেখে মনে হয়েছে তিনি আত্মহত্যা করেছে। যেহেতু, পুলিশ লাশের ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে, রিপোর্ট আসার পর আমরা সঠিক জানতে পারবো। বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য (রামেক)মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে যার নম্বর ১৬/২০। তবে
উপস্থিত জনতার মনে একটাই জিজ্ঞাসা, সত্যিই এটি কি হত্যা,নাকি আত্মহত্যা, কি ঘটেছিল সেই রাতে ?