নিজস্ব প্রতিবেদক♦♦
খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা ও সরকার উৎখাতের আন্দোলনের অর্থ যোগানদাতা এসএকে একরামুজ্জামান দুবাই ভিত্তিক মালিকানাধীন আরএকে গ্রুপ ও রাকিন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিকে কুক্ষিগত করে। নিজ আত্মীয় স্বজন ও দুর্বৃত্ত প্রকৃতির লোক কোম্পানিতে নিযুক্ত করে রাকিন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিতে অবৈধ পন্থায় এমডি পদে থেকে আত্মীয় স্বজনের সহযোগিতায়। জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের অসৎ সুবিধাভোগী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজশে ফ্ল্যাট ও দোকান বিক্রির হস্তান্তরের অনুমতি নিয়ে পল্লবী সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় রাকিনের নির্মাণাধীন মিরপুর কাফরুলে মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন প্রকল্প বিজয় রাকিন সিটির ফ্ল্যাট ও দোকান অবৈধভাবে বিক্রির করে শত শত কোটি টাকা নামে বেনামে ও কোম্পানির নামে বিভিন্ন ব্যাংকে গোপন ব্যাংক হিসাব খুলে আত্মসাৎপুর্বক।
দেশে ও বিদেশে একে একে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে নিজ নামে রোড নং ১৮, বাড়ি নং ২০, ব্লক-জে বনানী ঢাকাস্থ ১০ কাটা প্লটে ৩ তলা বাড়ি ভেঙ্গে ৮ তলা বিশিষ্ট ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। বিজয় রাকিন সিটিতে ১৮৭২ স্কয়ার ফিটের ৩ টি ফ্ল্যাট, বিজয় রাকিন সিটি শপিং কমপ্লেক্সর ফ্লোরে প্রতিটি ৭৮০০০ বর্গফুট করে ১০, ১১, ১২ তে ৩ টি ফ্লোর, উত্তরা ৪ নং সেক্টরে ২২০০ বর্গফুটের ২ টি ফ্ল্যাট, উত্তরা দক্ষিণখানে ৪ বিঘা জমি,পান্থপথে ৩ কাঠা জমির উপর কলাতন নামক ৩ তলা মর্কেট, কক্সবাজারে কলাতলীতে ১ বিঘা জমি, চট্টগ্রাম,আগ্রাবাদে ৫ কাঠা জমির উপর সিএনএফ টাওয়ার নামক ৩ তলা মার্কেট, সিলেট হবিগঞ্জে ১২ বিঘা জমি, ব্রাক্ষণবাড়িয়া নাছিরনগরে ২৫ বিঘা জমি, পূর্বাচলে রাজউকের ৫ কাঠা প্লট, উত্তরা দৌড় এলাকায় ২ বিঘা জমি রয়েছে।
এছাড়াও একরামুজ্জামান তিনি তার ১ম স্ত্রী নাঈমা জাহান আক্তারের নামে উত্তরা আর,এ কে টাওয়ারে গ্রাউন্ড ফ্লোর, ৫ম ফ্লোর, ৬ষ্ঠ ফ্লোর, ১১তম ফ্লোর, ১২ তম ফ্লোর মোট ৫ টি ফ্লোরে প্রতিটি ৫৫০০ বর্গফুট করে রয়েছে এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাহনাজ বেলীর নামে উত্তরা ৩ নং সেক্টরে ১৪৫০ স্কয়ার ফিটের ১ টি ফ্ল্যাট,উত্তরা ৪ নং সেক্টরে ২২০০ স্কয়ার ফিটের ১ টি ফ্ল্যাট, উত্তরা আর একে টাওয়ারের ৩য় তলায় ২ টি দোকান, কাফরুলস্থ রাকিন টাওয়ারে স্কাই বার্ড নামক ৩৫০ বর্গফুটের ১ টি দোকান, বিজয় রাকিন সিটিতে এ৬ ভবনে ১৮৭২ বর্গফুটের ১ টি ফ্ল্যাট রয়েছেন। অপরদিকে একরামুজ্জামানের ৩ বোন রয়েছে ,২ বোনের নামে উত্তরা ৯ নং সেক্টরে পল্লী রিভার ভিউতে ১৪৫০ বর্গফুটের ২ টি ফ্ল্যাট, ছোট বোনের নামে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে পল্লী সেরেনেটিতে ১৪৫০ বর্গফুটের ১ টি ফ্ল্যাট রয়েছে ।
দেশের বাহিরে দুবাইতে ৪৫ টি ফ্ল্যাট ও শতকোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে যা তাঁর ছোট ভাই তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকেন।ইহা ব্যতিত শত শেয়ার মার্কেটে নামে বেনামে একাধিক বিও একাউন্টে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে এবং ছেলে মেয়ে, শালা-শালীর নামে বিভিন্ন স্থানে ফ্ল্যাট ও জমি ক্রয়সহ ব্যবসায় অবৈধভাবে শত কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জে সাইনবোর্ড সম্বলিত ঢাকা ভিলেজ ও এস এম আবাসন নামক প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে প্লট বিক্রির ছলে শত শত নিরীহ মানুষের সাথে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে কোম্পানি গুটিয়ে একরামুজ্জামান লাপাত্তা হয়ে যায় ।
একরামুজ্জামান অত্যন্ত দুরন্ত ও চতুর প্রকৃতির হওয়ায় জিরো থেকে হিরো হয়ে দুর্নীতি ও সরকার উৎখাতের নাশকতার মামলা থেকে একরাম নিজেকে রক্ষা করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের অসৎ সুবিধাভোগী নেতাদের বশীভূত করে প্রথমে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এমপি হন। পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পদে আসীন হয়েছেন।
Tags: বিএনপি'র