আরিফুল ইসলাম জিমন♦♦
ভরা মৌসুমেও কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় অনেকেই সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে পানি নিয়ে ধানের চারা লাগানোর কাজ করছে। অনেকে রাস্তার ধারের খাল থেকে সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে পানি সেচ দিয়ে জমিতে চারা রোপণ করছে।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে গত দুইদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরছে আমন খেতে। তবুও চোঁখেমুখে চিন্তার ভাঁজ কৃষকদের।
উপজেলার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, অনেকদিন ঠিকমতো বৃষ্টি না হওয়ায় প্রখর রোদে জমিতে লাগানো ধানের চারা পানির অভাবে শুকিয়ে গেছে, বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি হলেও জমিতে পানি থাকছে না। যেন সেচ যন্ত্রই শেষ ভরসা!
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১১ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে আমন রোপণের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলার রুপসীপাড়া গ্রামরে কৃষক রেজাউল করিম বলেন, প্রচন্ড রোদে জমি শুকিয়ে গিয়েছিলো। চাষ দিতে পারিনি। এই দুইদিন বৃষ্টি হওয়ায় জমিতে পানি জমেছে। আল্লাহর রহমতে চাষ দিয়ে এখন ধান লাগাতে পারবো। এ ভাবে বৃষ্টি হলে ভাল, না হলে সেচ যন্ত্রই শেষ ভরসা।
পৌরসভার বড়োগলি গ্রামের কৃষক শফিউল শাহ বলেন, কদিন আগে সেচ দিয়ে জমিতে চারা রোপণ করেছি। কিন্তু‘ প্রখর রোদের কারণে জমি শুকিয়ে যাচ্ছিল। দুদিন বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা উপকার হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় আগাছা মারার স্প্রে করতে পারলাম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুজ্জামান জানান, এখনই আমন চারা রোপনের উপযুক্ত সময়। আমন চাষ পুরোপুরি বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল, কিন্তু সেই বৃষ্টির অভাবে জমিতে আমন ধান রোপণের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বৃষ্টির অপেক্ষায় থেকে চারার বয়স বেশি হয়ে গেলে ফলন বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা রয়েছে, সেক্ষেত্রে সম্পূরক সেচ দিয়ে চারা লাগানোই উত্তম। ঘোড়াঘাট উপজেলায় এ পর্যন্ত ৫০ ভাগ জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। অপরদিকে সেচ দেওয়ার জন্য বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও সেচ পাম্প মালিকদেরও তাগাদা দেওয়া হয়েছে।