নিজস্ব প্রতিবেদক:
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার দক্ষিণ পূর্ব পশারীবুনিয়া গ্রামের হনুফা বেগম(৮৫) স্বামী সাইজদ্দিন বৃদ্ধ এক গরিব মহিলার জায়গায় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা দখলের চেষ্টা। জানাগেছে, এলাকার কিছু সংখ্যাক নামধারী সন্ত্রাসীরা জোরপূর্বক ভুমি দখল করে গাছ-পালা কেঁটে, জাতীয়করণ প্রথমিক স্কুলের পাকাঘর নির্মাণের প্রক্রিয়া কালে। ভুমি দাতা হনুফা বেগম পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যলয়ে হাজির হয়ে। স্থানীয় সন্ত্রাসী চক্র আব্দুল হালিম(৪৫) ও আবুল হোসেন(৫০) উভয় পিতা মৃত আব্দুল হাকিম এর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ প্রেরণ করেন। এধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে, সম্পূর্ণ ঘটনাটি আমলে নিয়ে, জেলার পুলিশ সুপার নিজে মোবাইল ফোনে কথা ভান্ডারিয়া থানার ওসিকে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখার জন্য অবহিত করেন। এবিষয়ে থানার (ওসি) এস.এম মাকসুদুর রহমান সরেজমিন তদান্তের জন্য এসআই মোশাররফকে দায়িত্ব প্রদান করেন। তিনি গত বুধবার(১০সেপ্টেম্বর)দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দখলদারিত্ব ভুমির উপরে বিভিন্ন শ্রেনীর গাছ-গাছালি কাটা পেঁয়ে থাকেন। যা সম্পূর্ণ অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ পেঁয়ে, স্থানীয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আব্দুস্ সালাম মিয়া নামে তাকে সম্পূর্ণ বিষয়টি দেখভালের জন্য দায়িত্ব প্রদান করে থাকেন থানা পুলিশ। এমতাবস্থায় সন্ত্রাসী চক্র হালিম গংরা গাছের বেপারী মাসুম নামে তাকে গোপন শলাপরামর্শে ভোর সকালে গাছ ভর্তি করে ট্রলার যোগে নিয়ে যেতে বলেন। এদিকে গত শুক্রবার(১১ সেপ্টেম্বর) ভোর সকালে তাঁদের সক্রিয় শাজসে, আইনকে তোয়াক্কা না করে ট্রলার ভর্তি করে গাছ নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। এধরনের খবর পেঁয়ে থানা পুলিশের এসআই মোশাররফ ওই চক্রটিকে সরেজমিনে খুঁজে পাননি। একপর্যায় তাঁরা এমন পুলিশের খরব শুনে গাছ ও ট্রলার রেঁখে সরেজমিন ত্যাগ করেন।
এবিষয়ে স্থানীয় এলাকার লাল মিয়া, হাবিব মুন্সি, শাহিন, ইউসুফসহ ২০/৩০ জনে জানান, আমাদের পশারীয়া বুনিয়ায় এলাকায় শুনেছি কাগজে কলমে একটি প্রথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যা সরেজমিনে কখনো শিক্ষার্থীদেরকে পাঠদান দেখিনী। কিভাবে এতদিন পেরিয়ে একটি স্কুল জাতীয়করণ হয়? তাঁরা বলেন, আমরা শুনে ছিলাম “১৬৫নং দক্ষিণ পূর্ব পশারীবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়” প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এলাকার শিক্ষানুরাগী সমাজসেবক ও গরিব দু:খি মানুষের বন্ধু আব্দুস্ সালাম মিয়া। তাঁর প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণের পূর্বে পার্শ্ববর্তী এলাকার জালিয়াতি চক্র সুভাষ চন্দ্র হালদার, সম্পূর্ণ স্কুলের কাগজ সামগ্রী জালিয়াতি করে তাঁর আওতায় নিয়ে নেন। যার প্রেক্ষিতে জালিয়াতি চক্র উম্মচন হওয়াতে, এটি একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গণমাধ্যমে প্রকাশ করে দেন। তাঁরা আরও বলেন, যার জন্য এখন স্কুলের কোন প্রকার স্থান না পেঁয়ে; এলাকার বৃদ্ধ হনুফা বেগম নামের তাঁর ভুমি জবরদখল করে, ভুমির উপরে থাকা বিভিন্ন শ্রেনীর মোটাতাঁজা গাছ-পালা কেটে, স্কুল নির্মাণ কাজের জন্য বেপরোয়া হয়ে পড়েন ওই চক্রটি। এধরনের দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের এ অনৈতিক কর্মকান্ড স্ব-চোঁখে দেখা গেছে বলে জানান তাঁরা।
এলাকার সমাজসেবক আব্দুস্ ছালাম মিয়া জানান, স্কুল জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা সুভাষ চন্দ্র হালদার । তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার জন্য, পিরোজপুর বিজ্ঞ আদালতে একটি জালিয়াতি মামলা প্রদান করেন বাদী শাহ আলম নামের এক ব্যক্তি। এবিষয়ে আমিও তৎপর রয়েছি জালিয়াতি চক্রকে আইনের আওতায় আনার জন্য। তিনি বলেন, যারা সরকারী কাজে দুর্নীতি প্রতারণা করেন। তাঁরা এদেশের সঠিক নাগরিক না। তাঁরা মূলত সরকার বিরোধী। একসময়ে এ প্রতিষ্ঠানটি আমার নিজ হাতে গড়া ছিলো। যে প্রতিষ্ঠানটি প্রতারক সুভাষ চন্দ্র হালদার জালিয়াতি করে তাঁর মূখশ উম্মচন হয়। সংবাদ সম্মেরনের একাধিক গণমাধ্যমে । এবং গত দুইদিন আগে প্রতিষ্ঠানের জায়াগা খুঁজে পায়না, তাই এলাকার গরিব নীরহ বৃদ্ধ হনুফা বেগমের জমি দখল করে, গাছপালা বিক্রি করে। স্কুল নির্মাণের জন্য বেপরোয়া হয়ে পড়েন। জালিয়াতি ও প্রতারক সুভাষ এবং এলাকার সন্ত্রাসী চক্র হালিম গংরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে। যা ভান্ডারিয়া থানার পুলিশ প্রশাসন আমার উপরে আইনী বিধানে রেঁখেও । তাঁরা দেখাগেছে কোন অংশে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। তিনি বলেন, এবিষয়ে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটু কড়া নজরধারী থাকলে। অবশ্যই তাঁদেরকে অচিরেই আইনের আওতায় আনবেন বলে জানান।
বাদী শাহ্ আলম জানান, আমাদের নিজেস্ব ভুমিতে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করি। এরিমধ্যে সুভাষ নামের একটি চক্র স্কুলের মূল কাগজ পত্রাদি জালিয়াতি করে। আমাদের প্রতিষ্ঠানটি তাঁদের নামে নেওয়ার জন্য অনেক প্রক্রিয়া অবলম্বন করছেন। তাই আমি সঠিক আইনি ব্যবস্থা পাওয়ার জন্য, জেলা বিজ্ঞ আদালতে একটি জালিয়াতি মামলা প্রদান করে থাকি। যার পরিপ্রেক্ষিতে এধরনের তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতারণা মূলক মামলা দায়ের করলে, আমাকে তাঁদের অনেক সন্ত্রাসীরা মুঠফোনে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন।
বৃদ্ধ হনুফা বেগম সাংবাদিকদের জানান, আমার নিজের বাগান-বাড়ির গাছ-পালা কেটে বিক্রি করেন সন্ত্রাস আব্দুল হালিম ও আবুল হোসেন। তাঁরা চাচ্ছেন আমার বাগান-বাড়ির মধ্যে জোরপূর্বক স্কুল ঘর নির্মাণ করতে। কিন্তু আমি এলাকার একজন নীরহ গরিব মানুষ। আমি স্কুলের নামে জমি দিবো না, এজন্য তাঁরা আমাকে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে থাকেন। তিনি আরও বলেন, এদের সাথে গোপনে একটি সঙ্গবদ্ধ চক্র কাজ করে যাচ্ছেন। রুহুল আমিন, গোলাম রহমানসহ আরও ছদ্মনাম অনেকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে , পিরোজপুর জেলার পুলিশ সুপার কার্যলয়ে হাজির হয়ে, আইনের আশ্রায় চেয়ে থাকি। যাহার কারণে উর্ধ্বতন স্যারের নেতৃত্বে; স্থানীয় ভান্ডারিয়া থানার মারফতে পুলিশের আইনের আস্থা পেয়ে থাকি। হনুফা বলেন, আমার নিজের জমি অন্যদেরকে জীবন থাকতে দিবো না। এবিষয়ে আপনাদের একটুমাত্র সহযোগীতা চাচ্ছি। এবং আপনারা আমার অনেক অংশে উপকার করেছেন, যা আমি কখনোই ভুলতে পারবোনা বলে জানান তিনি।
ভান্ডারিয়া থানার এসআই মোশাররফ জানান, ভাই সঠিক ভাবে আমি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবো, কারণ আমার চোঁখে এখন পর্যন্ত কোন প্রকার অনিয়ম হেরে যেতে দেইনি। এবং আমার পুলিশের কর্মজীবনে অনেক সততার সাথে কাজ করার চেষ্টা করি। তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সম্পূর্ণ বিষয়টি সঠিক ভাবে পেয়েছি, যার কারণে বিষয়টি স্থানীয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আব্দুস্ সালাম মিয়া নামে তাকে দেখভালের জন্য দায়িত্ব প্রদান করে থাকি। এবং দায়িত্বের অগচরে বৃদ্ধ মহিলার গাছ গোপনে নেওয়ার কথা শুনে। আমি আবার তাৎক্ষণিক ভাবে সরেজমিনে গিয়ে কোন অপরাধীকে খুঁজে পাইনি। এবং তাঁদেরকে বলা হয়েছে আইন অমান্য’র কারণে, এই গাছ ও ট্রলার এখানে ক্ষয় হয়ে যাবে। কিন্তু কোন অংশে ধরা-ছোয়া যাবেনা বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, প্রধান শিক্ষক সীমা গোলদার(৪০) স্বামী সুভাষ চন্দ্র হালদার, সহকারী শিক্ষক রীনা রানী (২৯) পিতা নির্মল চন্দ্র হালদার, উভয় সাং পশারী বুনিয়া, সহকারী শিল্পী আক্তার(৩৬) স্বামী তপু পঞ্চায়েত, সাং আতরখালী ও শাহনাজ বেগম(৩৮) পিতা অজ্ঞাত, সাং রাজপাশা এবং প্রতারক জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা সুভাষ চন্দ্র হালদার( ৫০) পিতা মৃত ললিত হালদার ও উপজেলার শিক্ষা অফিসার জালাল উদ্দিন খান, থানা ভান্ডারিয়া, জেলা পিরোজপুর। এদের মধ্যে থাকা শিক্ষক কর্মচারীরা স্কুল জালিয়াতি করণে ভুয়া শিক্ষক নিয়োগ হয়ে, এক কালিন মোট ৫২ লক্ষ টাকা সরকারী টাকা উত্তালন করেন । কাগজে-কলমে স্কুল! স্কুলের নেই কোন নিজেস্ব জমি। স্কুলের নেই কোন স্থানে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা। সরকারের চোঁখে ফাঁকি দিয়ে এভাবেই পার করছেন ভুয়ারূপে ওই প্রতিষ্ঠানটি। এবং এদের বিরুদ্ধে জেলার বিজ্ঞ আদালতে জালিয়াতি মামলা প্রদান করাতেও, তাঁরা কোন অংশে থেমে নেই । সুতরাং তাঁরা সে ক্ষেত্রে এখনও মাসিক বেতন উত্তালন করে যাচ্ছেন। এবিষয়ে জেলার প্রতিটি দপ্তরে দুর্নীতির অভিযোগ প্রদান করলেও । সরকারী কর্মচারীরা কোন প্রকার আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। জানাগেছে, মামলার এজাহারে উপজেলার শিক্ষা অফিসার আসামীসহ অনেকে এধরনের দুর্নীতির সাথে যুক্ত রয়েছেন।