নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস যেন বিকৃতি না হয় মন্তব্য করে ভাষা সৈনিক আবদুল মতিনের স্ত্রী মিসেস গুলবদুন্নেছা মনিকা মতিন বলেছেন, ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন। তিনি সহ ভাষা আন্দোলনে যার যতটুকু অবদান তাকে যেন রাষ্ট্র ততটুকু স্বীকৃতি প্রদান করেন।
শুক্রবার (৯ অক্টোবর) ভাসানী মতিনের মোহাম্মদপুরের বাসভবনে চিকিৎসাধিন ভাষা বীর, ভাষা সৈনিক প্রয়াত আবদুল মতিনের অসুস্থ স্ত্রী গুলবদুন্নেছা মনিকা মতিনকে দেখতে ও তার চিকিৎসার খোজ খবর নিতে গেলে বাংলাদেশ ন্যাপ-এনডিপি ও বাগদল নেতৃবৃন্দদের মাধ্যমে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভাষা সৈনিকরা ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই স্বাধীন বাংলাদেশের বীজ বপন করেছিল। তাদেরকে সম্মান জানানো রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তাদের জীবনে আজকের প্রজন্মের নিকট পৌছে দেয়া সরকারের কর্তব্য। ভাষা মতিন আজীবন দেশের জন্য, মানুষের জন্য, সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন, কথা বলেছেন। এক কথায় ভাষা মতিন ছিলেন দুঃসাহসী ও মানবতাবাদী রাজনীতিবিদ।
তিনি অনেকটা হতাশার সুলেই বলেন, আজ আমরা ভাষা সৈনিকদের ভুলে যাচ্ছি। অতিত ইতহাস ও ইতহাসের নায়কদের ভুলে যাওয়া কোন জাতির জন্য শুভ লক্ষণ নয়। এই ভুলে যাওয়া সমাজের মধ্যেই ভাষা সৈনিক মতিনের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালন করায় তিনি ন্যাপ-এনডিপি ও বাগসদ নেতা-কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বাংলাদেশ গণসংস্তৃতি দল-বাগসদ সভাপতি সরদার শামস্ আল মামুন (চাষী মামুন), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা।
এসময় গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী টেলিফোনে ভাষা সৈনিক প্রয়াত আবদুল মতিনের অসুস্থ স্ত্রী গুলবদুন্নেছা মনিকা মতিনের শাররিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোজখবর নেন এবং চিকিৎসা বিষয়ে সকর করনীয় বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করেন।