এই সময়ে বিভিন্ন পেশার মানুষ যে যার অবস্থান থেকে করোনা প্রতিরোধে এগিয়ে এসেছেন। আবার কখনো সামনে আনছেন নানা উৎসাহমূলক কাজ। এমনই একাধিক কাজ নিয়ে লকডাউনের বিভিন্ন সময়ে হাজির হচ্ছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ঐশী। ঘরে বসেই বেশ কিছু গান করেছেন তিনি। এরমধ্যে একাধিক ইসলামি গানেও কন্ঠ দিয়েছেন। মিউজিক ছাড়া এসব ইসলামি গান বেশ প্রশংসাও পাচ্ছে। এর বাইরে করোনা সচেতনতায়ও একাধিক গানে কন্ঠ মেলাতে দেখা যাচ্ছে ঐশীকে।
এদিকে লকডাউনে নিজের নামের ইউটিউব চ্যানেলেও বেশ সরব এ শিল্পী।
নিয়মিত করোনা সচেতনতার ভিডিও প্রকাশ করছেন। এর বাইরে ইসলামি গজলও প্রকাশ করছেন এই চ্যানেলে। তার প্রকাশ করা গজলগুলো হলো ‘শোনো শোনো ইয়া ইলাহি’, ‘হে নামাজী’, ‘খোদা এই গরিবের শোনো মোনাজাত’ এবং ‘আল্লাহ আমার প্রভু’। এর বাইরেও ‘আল্লাহু আল্লাহু’ শীর্ষক একটি গজল তার কন্ঠে প্রকাশ হয়েছে শাহ সিমেন্টের ইউটিউব চ্যানেলে।
এছাড়াও জি সিরিজের ব্যানারে এ গায়িকার নতুন একটি আধ্যাত্মিক গানও প্রকাশ হয়েছে সম্প্রতি। গানটির শিরোনাম ‘যৌবন গেল’। লিখেছেন ও সুর করেছেন হাবিব মোস্তফা, সংগীতায়োজন করেছেন অণু মোস্তাফিজ। লকডাউনে নিজের কাজ প্রসঙ্গে ঐশী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে এখন বাইরে বের হওয়া সম্ভব নয়। সবাইকে ঘরেই থাকতে হবে। ঘরে থেকেও যতটুকু পারছি গান করার চেষ্টা করছি। ইসলামি গজল ও করোনা সচেতনতায় বেশ কিছু গান করেছি।
আরো কিছু গানও সামনে করা হবে। বাসায় থেকেই গানগুলোতে কন্ঠ দিচ্ছি। বিশেষ করে আমার ইউটিউব চ্যানেলে বেশ কিছু গজল প্রকাশ করেছি। চলতি অবস্থার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক কিছু ভিডিও প্রকাশ করেছি। শ্রোতা-দর্শক এগুলো পছন্দও করছেন। যতদিন লকডাউন চলবে এই ধারা অব্যাহত থাকবে। এদিকে করোনা ভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান এ গায়িকা। তিনি বলেন, বাসায় বসেই যা করার করুন। সবার নিরাপত্তার জন্যই আপাতত কারো বাইরে বের হওয়া উচিত নয়।