শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুর করোনাকালীন সময়ে কোর্ট সংলগ্ন জলিল আবাসিক হোটেলে চলছে দেহ ব্যবসা। নিয়মনীতি ছাড়াই ভাড়া দিচ্ছেন হোটেল কক্ষ। জলিল আবাসিক হোটেল কক্ষে অর্থনৈতিক কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়লেন জেলা কারাগারের কারারক্ষী নাজমুল নামের এক যুবক। শাস্তি হিসেবে প্রত্যাহার করার কথা জানালেন জেল সুপার। সারাদেশে যখন করনা মহামারীর কারণে কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে, জেলার সকল প্রতিষ্ঠান প্রায় বন্ধ তখনো অবৈধভাবে জলিল আবসিক হোটেল খোলা রেখে চলছে অনৈতিক রমরমা দেহ ব্যবসা। ৬ জুলাই মঙ্গলবার বেলা ১ টায় কোর্ট সংলগ্ন সদর রোডে অবস্থিত জলিল আবসিক হোটেলে চলছে অনৈতিক কাজ হচ্চে গোপন সূত্রে এমন খবর গিয়ে দেখা যায়, হোটেলের অভ্যর্থানালায়ে ম্যনেজার হারুন খালাসি (৫৫) বসে আছে। ফ্লোরে রয়েছে যৌন উত্তেজক সিরাপ ও বক্স ভর্তি যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট রেখেছে। অভিযোগের বিষয়টি জানতে চাইলে, ম্যানেজার হারুন খালাসি বলেন, একজন পুলিশ পরিচয়ে তার স্ত্রীকে নিয়ে হোটেলের একটি রুমে উঠেছেন। হোটেল রেজিষ্ট্রার খাতায় ভোটার আইডি কার্ড ও কাবিন নামার কপি না রেখেই বেআইনি ভাবে ভাড়া দেয়া হয়। রুম ভাড়া নেয়া যুবক নাজমুল (৩০) কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে জেল পুলিশ পরিচয় দিয়ে বলেন, তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে এই হোটেলে উঠেছেন। জিঙ্গাসাবাদের এক পর্যায়ে তার শশুরবাড়ির নাম্বার চাইলে তিনি প্যাচে পরার কথা চিন্তা করে সে অপরাধ শিকার করেন। এদিকে ম্যানেজার হারুন খালাসি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার ছলে ছেলে ও মেয়েকে গোপনে চলে যেতে সহযোগিতা করেন। নাজমুল শরীয়তপুর কারাগারের কারারক্ষী কি না বিষয়টি নিশ্চিত করতে জেলা’র দিদারুল ইসলামের সরকারি মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে অফিস সূত্রে জানা যায়, তিনি বাসায় বিশ্রামে আছেন। অফিসে কখন আসবে বলতে পারে না। সাংবাদিকদের সাথে জেল গেইটে কর্মরত জেল পুলিশ আশরাফ ভিডিও ফুটেজ দেখে নিশ্চিত করে বলেন, এই খানে দুই জন নাজমুল চাকরি করে। একজন ভালো, আরেকজন নেশা করার দায়ে সাসপেন্ডে আছে। এই ছেলেটা দুই নাম্বার নাজমুল। এই নাজমুল ১৭ দিন হলো জেলা কারারক্ষী হিসেবে যোগদান করেছে। এসেই কিছুদিন আগে নেশা করার অপরাধে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে । আমি নিশ্চিত এই সেই ছেলে। বিকেল ৪ টার বেশী সময় হলেও এখনো তিনি কর্মস্থলে প্রবেশ করেনি। এব্যাপারে আবাসিক হোটেল মালিক আঃ জলিল বলেন, আবাসিক হোটেলটি আমি নতুন করেছি। আপরাধ করেছে আমার ম্যানেজার, এবিষয়ে আমি কিছু জানি না। করনাকালীন সময় শুধু আমার আবাসিক হোটেল না, সদরের সব আবাসিক হোটেল খোলা রয়েছে। কেউ জিজ্ঞাসা করলে আমি এই কথায় বলাবো। এবিষয়ে শরীয়তপুর জেল সুপার ও শরীয়তপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনোদীপ ঘরাই বলেন, দুই দিন আগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, এখনতো ওর চাকরিই থাকছে না। এর বেশী আমার কিছুই করার নেই। মেয়েটি স্থানীয় কি-না বা মেয়েটিকে নাজমুল প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে এনেছে কিনা এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাকে এখন থেকে অন্য জেলায় প্রত্যাহার করা হবে। এছাড়াও এঘটনায় আবাসিক হোটেল এর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স।থানীয় মসজিদের ইমাম বলেন, ছেলেটি যে অপরাধ করেছে তাতে তাকে শাস্তি (জেল) দেয়া উচিৎ। তাকে শুধু প্রত্যাহার করা হলে অন্য জেলায় গিয়েও সে একই কাজ করবে। সে অন্য জেলায় গিয়েও তো সাময়িক বরখাস্তই থাকবে।