মীর এম ইমরান, স্টাফ রিপোর্টারঃ
কাঠালবাড়ি- শিমুলিয়া নৌরুটে ৭দিনেও কাটেনি ঘাটের অচলাবস্থা। নাব্য সংকটের কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায়। ড্রেজিং কার্যক্রম চললেও কাজের কোন অগ্রগতি দেখছে না ঘাটে আটকে পড়া যাত্রী ও চালক। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে দেশের ব্যস্ততম অন্যতম কাঠালবাড়ী শিমুলিয়া নৌরুট। ৭ থেকে ১০ দিন ধরে ঘাটেই খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে পরিবহন ও ট্রাক চালকরা। অনেকের পকেটের টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় পরিবারের কাছ থেকে টাকা এনে কোন রকমে দিন কাটাচ্ছে। ফেরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঘাটে জনমানুষ শূন্য হয়ে যাওয়ায় ঘাট এলাকার খাবার হোটেলগুলোর প্রায় বন্ধ। এতে খাবার সংকটে পরতে হচ্ছে আটকে পড়া পরিবহন চালক ও হেল্পারদের। এদিকে নৌচ্যানেলটিতে ড্রেজিং কার্যক্রমের তেমন গতি পাচ্ছে না। ¯্রােতের কারণে ভেসে আসা ময়লা আবর্জনা আটকে ড্রেজিং কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ড্রেজিংএ কর্মরত কর্মকর্তারা।
ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাটে দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকশ পন্যবাহী ট্রাক ও পরিবহন আটকে পড়েছে। পরিবহনের যাত্রীরা ঘাটে এসে পড়েছে বিপাকে। আর লঞ্চ ও স্পীডবোট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বর্তমানে ৮৭টি লঞ্চ ও দেড় শতাধিক স্পীডবোট পদ্মায় চলাচল করছে। এই রুটে অচলাবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় দৌলদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে চাপ বেড়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল আলিম বলেন, পদ্মা নদীতে নাব্যতা সংকট, তীব্র স্রোত ও পদ্মাসেতুর নিরাপত্তাজনিত কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। মূলত নাব্যতা সংকটের কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বিকল্প রুট ব্যবহারের পরামর্শ দেন যাত্রী ও চালকদের।