মোঃ শিফাত মাহমুদ ফাহিম:
মহান আল্লাহতালা ১৮ হাজার জাতি সৃষ্টি করেছেন। সেই সাথে সকল সৃষ্টির মাঝে স্রষ্টা মানুষকেই তাঁর সৃষ্টি সেরা জীবন ও জাতি হিসাবে পবিত্র আল-কোরানে ঘোষণা দিয়েছেন।মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীবন ঘোষণা করার পিছুনে রয়েছে কারণ।তা হলো মানুষকে মহান আল্লাহতালা জ্ঞান বিবেক বুদ্ধি ইত্যাদি এসব কিছু দিয়ে পরিপূর্ণ ভাবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।
সৃষ্টি সেরা জীবন হিসাবে মানুষকে মান-সম্মান সব কিছুই দিয়েছেন।আরও দিয়েছে তাদের ভালো মন্দ বুঝার ক্ষমতা।কিন্তু রহস্য জনক ভাবে আফসোস!
যাইহোক- এসব কথা আর না বাড়ায়,বাংলার তথা পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের ভালো মন্দ বুঝার ক্ষমতা থাকলে ও এখনো ভালো মন্দ বুঝার ক্ষমতা হয়নি আমার প্রিয় জন্মভূমি,প্রিয় জন্মস্থান,আত্রাইয়ের মানুষদের।
তারা ভালো কিছু করতে পাড়ুক আর নাই বা পাড়ুক, তবে কিন্তু দালালী আর চাম্চামী সেরা হতে পারে দালাল হিসাবে।চিরন্ত সত্য বাণী এটি আত্রাইয়ের মানুষরা কৃতদাসের জীবন বরণ করে বাঁচতে পছন্দ করে,কিন্তু স্বাধীন ভাবে বাঁচতে নয়।আজ ওর হয়ে দালালী করবে কাল আরেক জনের হয়ে তৈল মারবে এটাই তাদের চারিত্রিক গত স্বাভাব ও অভ্যাস।
স্বাধীনতা যুদ্ধ দেখার বা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করার সৌভাগ্য আমার হয়নি।তবে কিন্তু ইতিহাস পড়েছে ও ইতিহাস থেকে জেনেছি।বাংলাদেশে এক সময় পরাধীন একটি দেশ ছিলো,এই প্রিয় দেশটি, মাতৃভূমি-টি যুগের পর যুগ শোষণ ও শাসন করেছে ব্রিটিশ সরকার,পাকিস্তান সরকার সহ বাঁকিটা এখন ইতিহাস।তার পর নানা আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে বাংলার মানুষ হানাদার বাহিনীদের হাত থেকে ছিমিয়ে এনেছে লাল সবুজের পতাকা।আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হয়েছি তাদের শোষণ ও শাসন থেকে মুক্ত।
আফসোস! ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গা প্রতিটি স্থান স্বাধীন হলেও বাংলার মাটিতেই এক খণ্ড ভূমি এখনো স্বাধীন হতে পারেনি শুধু মাত্র দালালী আর চাম্চামীর কারণে।এখনো পারেনি তারা মাথা উঁচু করেও দাঁড়াতে,মেলেনি তাদের অন্যের বন্দিদশা থেকে মুক্তি।১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিঃমিঃ এই স্বাধীন দেশে ২৮৪.১৮ বর্গ কিঃমিঃ একটি উপজেলার মানুষরাই আজ পরাধরীন।তারা যেনো, স্বাধীন দেশে পরাধীন ছিন্নমূল এক জনগোষ্ঠী।
হয়তো আমার কথা শুনে আপনাদের অবাক লাগছে!কিন্তু অবাক লাগার কিছু নেই ১০০% সত্য। নওগাঁ জেলার অন্তর্গত আত্রাই উপজেলা নামক ২৮৪.১৮ বর্গ কিঃমিঃ আয়তনের ভূখণ্ডটি।লক্ষ্য করে দেখুন স্বাধীনতার পর থেকে এই উপজেলার মানুষ গুলো শুধু দালালী আর চাম্চামীর কারণে এখনো পরাধীন হয়েই রয়েছে।
১৯৭১ সালের (স্বাধীনতার) পর থেকে এ উপজেলায় কোন জাতীয় নেতার জন্ম হয়নি,পায়নি এ জনপদের মানুষ নিজেদের মাঝ থেকে কোন সংসদ সদস্য।দেশ স্বাধীনের (৪৯ বছর) পর থেকেই এ জনপদের মানুষদের শোষণ ও শাসন করে আসছে পার্শ্ববর্তী রাণীনগর উপজেলার নেতারাই।হোক সেটি বিএনপি,আওয়ামীলীগ অথবা জামাত ইত্যাদি ইত্যাদি।কিন্তু হিসাব করে দেখুন রাণীনগরের চেয়ে কোন কিছুতেই কমতি নেই এ পরাধীন উপজেলায়।
*আজ খুব আনন্দের সহিত বলতে ইচ্ছে করছে রাণীনগরের মাটি নেতা তৈরীর ঘাঁটি।
*পক্ষান্তরে আত্রাইয়ের মাটি দালাল তৈরীর ঘাঁটি।
মুরব্বীদের কাছ থেকে শুনতাম মানুষের পিট দেয়ালে ঠেকে গেলে নাকি ঘুরে দাঁড়ায়।কিন্তু আত্রাইয়ের মানুষদের ক্ষেত্রে বাণীটি একটু আলাদা।এদের ভিতর আপন শক্তিতে জেগে উঠার মতো ক্ষমতা ও তীব্র ইচ্ছে নেই।এদের যদি আপনি পৃথিবীর সকল ঔষধ খাওয়ান তবুও এদের নিস্তেজ অঙ্গ আর জাগবে না।কারণ এদের রক্তে সমস্যা।
এরা এতোটা দালাল এদের পিঠ যেখানে দেয়ালে ঠেকে সেখানেই এরা হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
আসলে দালালী আর চাম্চামী যাদের পেশা তাদের দ্বারা তো আর ভালো কিছু করা সম্ভব নয়। কথায় আছে না! জোকার কে দিয়ে কখনো রাজার অভিনয় করানো যায় না।জোকার তো জোকার-ই।
আত্রাইয়ের মানুষ জাতিগত ভাবেই দলাল ও চাম্চা। তাই এরা নেতা তৈরী করতে জানেনা।আর পারবেই বা কি করে? কুকুরের গর্ভে তো সিংহের জন্ম হয় না।আবার কুকুরের পেটে ঘি-ভাত ও সহ্য হয় না।যদি গবরের ভিতর পদ্মফুল ফুটার অভাস পায় তখন এরা শুধু পদ্মফুলের গাছ না ঐ জায়গার গবর ও খেয়ে নেই যেনো আর ভবিষ্যৎতে পদ্মফুল না ফুটতে পারে।
তবে সাধু সাবধান! এদের রক্তের কিন্তু সমস্যা।এই কারণে সমস্যা, হয়তো সে সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্রাইতে ঘাঁটি গেড়ে কিছু বীজ রেখে গিয়েছিলো তারই ফসল বর্তমান সময়ের এই উন্নত জাতের মোটা তাজা দালাল গুলো।
আগামীর নেতার জন্য রইলো অন্তরের অন্তস্থঃতল থেকে অনেক অনেক দোয়া ও শুভ কামনা।আপনার কাছে আমরা সাধারণ মানুষরা দাললা, চাঁদাবাজ, তৈলবাজ, সন্ত্রাসী মুক্ত একটি শান্তিপূর্ণ এলাকা চাই।
যাইহোক-বাপু আমি বুঝি কম যার যা ইচ্ছে করুক।চোঁখ আছে দেখবো মুখ আছে কাউকে কিছু বলবো না।