নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গভীর রাতের আধাঁরে প্রাইভেটকার-পিকআপ সংঘর্ষে সাদিয়া নামের একটি মেয়ের জীবন ফিরে পেল হাইওয়ে পুলিশি তৎপরতায়। গত শনিবার (১১ অক্টোবর) রাত ১২ ঘটিকার সময় সোনারগাঁও মদনপুর দেওয়ানবাগ এলাকায় প্রাইভেটকার-পিকআপ সংঘর্ষের একটি ঘটনা ঘটে থাকে। এ সময় প্রাইভেটকার(ঢাকা মেট্রো-ঘ, ২১-৮৬৬৮) এর চালকের অসাবধানতায় দ্রুত গিয়ে পিকআপের পিছনে ধাক্কা মারে।এতে করে প্রাইভেটকারের মধ্যে থাকা সাদিয়া জাহান নূর(২০) পিতা কামাল হোসেন নামের মেয়েটি পিকআপে চাপা পরে ঘটনাস্থলে গুরুত্বর আহত ও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এমতাবস্থায় তাৎক্ষণিক ঘটনার সূত্র পেঁয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার (ওসি) মো: মনিরুজ্জামান ওই এলাকায় টহলরত হাইওয়ে পুলিশ টিমকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে দেন। হাইওয়ে পুলিশ দুমড়ে মুছড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশের গাড়িতে করে আহত ওই তরুণীকে পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রাইভেট “বারাকা হসপিটালে’’ প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। দ্রুত ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে ভিকটিমের খোঁজ খবর নেন। এতে করে মেয়েটির সুস্থ জীবন ফিরে পায়।
সূত্রমতে জানা গেছে, গভীর রাতেও হাইওয়ে থানার ওসির সরকারী মোবাইল ফোনকে ২৪ ঘন্টা এ্যালার্ট রেখে নিদ্রা যাপন করেন। তাঁর প্রমাণ চিত্র খুঁজে পাওয়া যায় ওই মেয়েটির বেলায়। কাজেই এমন ঘটনায়-ঘটনাস্থল থেকে কোন এক ব্যক্তির দ্বারা তাঁর সরকারী নাম্বারে ফোন আসলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানোর ব্যবস্থায় মেয়েটির স্বাভাবিক জীবন ফিরে পায়। এতে করে প্রাইভেটকার আরোহী মেয়েটি পুলিশের দ্রত সাড়া পেয়ে তাঁর সুস্থ জীবনকে ফিরে পায়। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার (ওসি) মনিরুজ্জানসহ থানার সকল পুলিশের প্রতি সাদিয়া নামের মেয়েটি একহ্রাস ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি হিসেবে তুলে ধরেন তাঁর অনুভূতির মাধ্যমে ।
এবিষয়ে সাদিয়া সাংবাদিকদের জানান, ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা কালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁও মদনপুর দেওয়ানবাগ এলাকায় আমার প্রাইভেটকার-পিকআপ সংঘর্ষে আমি গুরুত্বর আহত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি। এমন ধরনের ঘটনার সূত্র পেয়ে হাইওয়ে থানার (ওসি) মনিরুজ্জামান তাঁর নেতৃত্বে পুলিশের ফোর্স এসে সঙ্গে সঙ্গে আমাকে পার্শ্ববর্তী এলাকার ‘‘বারাকা হসপিটালে’’ চিকিৎসা সেবার জন্য দ্রুত ভর্তির ব্যবস্থা করেন । তাৎক্ষণিক ভাবে তাঁদের এমন কর্মকান্ডে আমি অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছি।
তিনি বলেন, আমার ব্যক্তি জীবনের পথচলায় এমন পুলিশের দেখা মেলেনি। ‘‘পুলিশ জনতা,জনতাই পুলিশ’’ এ স্লোগানকে তাঁরা প্রমাণ করে দিয়েছেন আমার জীবন বাঁচিয়ে। যার কারণে এখন কাঁচপুর হাইওয়ে থানাকে আমি আপন প্রাণে মন থেকে ভালোবাসি।
সাদিয়া আরও বলেন, আমি সড়ক দুর্ঘটনার স্বীকারে ওই রাতে আমার পরিবারকেও মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও পাইনি। কারণ এতো রাতে তাঁরা সকলে ঘুমিয়ে গিয়েছেন। ওই সময়ে শুধুমাত্র কাঁচপুর হাইওয়ে থানার(ওসি) মনিরুজ্জামান ও তাঁর পুলিশ কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক ভাবে মোবাইল ফোনে পেঁয়েছি। দুর্ঘটনায় আহতদের কিভাবে সেবা দিয়ে সুস্থ করতে হয় আমার জীবন বাঁচিয়ে তার প্রমাণ করে দিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ। দ্রুতভাবে এমন ধরনের পুলিশি তৎপরতায় আমি বেঁচে যাব, যা কল্পনাইও ভাবতে পারিনি। ওসি সাহেবের হাসপাতালে উপস্থিতি ও তদারকি দেখে আমি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ি। আমার পরিবার পুলিশকে তেমন একটা ভালো বাসেননা কিন্তু আমার কাছ থেকে হাইওয়ে পুলিশের সেবা তৎপরতার কথা শুনে এখন সবাই পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বলে জানান সাদিয়া। তিনি অত্র প্রতিবেদক কে আরো জানান যেন ওসি মনির এর মত মানুষকে প্রত্যেক থানায় ওসি হিসাবে পদায়ন করা হয়। আমি যতদিন বেঁচে থাকব তত দিন পুলিশের জন্য দোয়া করে যাব।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার(ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, আমি ব্যক্তি জীবনে যত জায়গায় চাকরি করেছি, সব জায়গাতেই মানুষকে আপন প্রাণে সঠিক সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কারণ আমি সরকারের একজন দায়িত্বরত কর্মচারী। এ হিসেবে আমার দ্বারা জনগণ কি পেলো এটাই হচ্ছে মূলকথা। তাই জনগণের পুলিশ হয়ে সর্ব সময়ে সঠিক সেবা দিয়ে যেতে চাই। তিনি আরো জানান, এধরনের সেবা মূলক কাজ করে নিজেকে অনেক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ মনে করেন।