মোঃ মহসিন রেজা রিপন,শরীয়তপুর◊◊
শরীয়তপুর সদর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড দাসাত্তা গ্রামের মৃত ওয়াব ফকিরে মেয়ে মেহেরুননেছার ১ একর ৮০ শতাংস জমি রয়েছে দাসাত্তা গ্রামে, সে জমি তারা নিয়মিত চাষাবাদ করে আসছিলো। বিআরএস ভূমি জরিপের সময় ভূলবশত এই জমি মৃত আব্দুল মান্নান ফকিরের নামে বিআরএস করা হয়, মেহেরুননেছার নামে থাকা দলিল থাকা স্বত্বেও তার নামে বিআরএস ভূক্ত না হওয়ায়, একই গ্রামের মৃত আঃ মান্নান ফকিরের সন্তান লুৎফর আহমেদ স্বপন ফকির, ফারুক আহমেদ খোকন ফকির, মারুফ আহমেদ সুমন ফকির, সিরিন আক্তার লাভলী, মেরিনা আক্তার লিপি,হেলেনা আক্তার শিল্পী, তানজিবা আহমেদ পপি, মৃত করম আলী বেপারী ছেলে আলী হোসেন বেপারীরা মিলে সেই জমি প্রভাবশালীদের নামে বায়না করিয়ে দখল ও ভরাটের চেষ্টার অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী।
উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া জমিতে ইতিমধ্যে ভরাটের ব্যবস্থা চেষ্টাকালে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ করার পরেও দখলকারীরা জমির চার পাশে শ্রমিক দিয়ে মাটি উঁচু করছে বালু দিয়ে ভরাট করার উদ্দেশ্য।
ভূক্তভোগী মেহেরুননেছার ছেলে ভূক্তভোগী মোয়াজ্জেম হোসেন মোল্লা বলেন, পালং থানাধীন, আরএস জরিপী ৪৩ নং দাসাত্তা মৌজার আরএস ১৯১ নং খতিয়ানে ভূমি পরবর্তীতে এসএ ১৬৫ নং এ আমার মায়ের নামে দলিল নং ২০৮৮ ও দাগ নং ২৩০ এ ১ একর ৮০ শতাংস জমি রয়েছে কিন্তু সেই জমি বিআরএস ভুক্ত না হওয়ায়, লুৎফর রহমান সহ তার ভাই বোনেরা মিলে প্রভাবশালীদের কাছে বায়না করে আমাদের সেই কৃষি জমি দখল করে ভরাটের চেষ্টা করছে। এর আগে এ জমি নিয়ে আমরা রেকর্ড সংশোধন চেয়ে মামলা করায় হাইকোর্ট এ জমির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।
বিআরএস রেকর্ড সংশোধনী চেয়ে জমির মালিক মেহেরুননেছা বাদী হয়ে মৃত আব্দুল মান্নান ফকিরে সাত সন্তান, মৃত করম আলী বেপারীর ছেলে আলী হোসেন বেপারী, সদর উপজেলা সাব-রেজিষ্টার ও জেলা প্রশাসক শরীয়তপুরকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনার অভিযোগে প্রতিবেদক ঘটনাস্থলে গেলে সে জমির উপর একটি সাইনবোর্ড লাগানো দেখা যায়, তাতে ৯১ শতাংস জমি বায়না সূত্রে মালিকগনের নাম লেখা রয়েছে। যাদের নাম লেখা তারা হলেন- আবুল হোসেন খান, খবির হোসেন খান,মোঃ চুন্নু, মাহবুব ইসলাম সবুজ ও সাদ্দাম হোসেন খানের নাম লেখা রয়েছে বোর্ডটিতে।