মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার।।
বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি , দেশের বাইরে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা এবং নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদের পরিচালনায় গতকাল মঙ্গলবার (১৪ জুন) যুক্তরাজ্য সময় দুপুর ২ দুই টায় ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে । অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচিতে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে বিএনপির তিন শতাধিক নেতাকর্মী নেতৃবৃন্দ, জোনাল কমিটির নেতৃবৃন্দ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মীসহ ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দগণ বিভিন্ন পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে কর্মসূচিতে যোগ দেন।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া আবারো গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় প্রমাণিত হলো অবিলম্বে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব না হলে জীবন হুমকিতে পড়বে। তাঁকে অবিলম্বে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি না দিয়ে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাধারণ কয়ছর এম আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা ও যৌথ মেডিকেল বোর্ড বসে বিজ্ঞ চিকিৎসকগণ তারা একমত পোষণ করে বলেন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। যদি অতিশীঘ্রই বেগম খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে না নেওয়া হয় তাহলে উনার জীবন সন্ধিক্ষণ ঝুঁকিপূর্ণ মধ্যে চলে আসবে । যাহা বাংলাদেশের চিকিৎসার মাধ্যমে উনাকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে না । তিনি আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার হার্টে রিং পরানোর পর হার্টের সমস্যা থেকে সাময়িকভাবে রেহাই পেয়েছেন।
উক্ত সমাবেশে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহিন, যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি রহিম উদ্দিন, সাবেক ছাত্রদল নেতা ও বাংলাদেশের বিজ্ঞ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বারের সাবেক বারবার নির্বাচিত সভাপতি , বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের সাবেক জুনিয়র এডভোকেট আমির হোসাইন সরকার।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন মোঃ আবু বকার সিদ্দিক, মো: শাহাদাত হোসাইন, এ এ ওয়াহিদুল ইসলাম, মোঃ আল আমিন, নন্দন কুমার দে, মো: শাহরিয়ার ওয়াহিদ, মোঃ সেলিম রেজা, মো: দেলোয়ার হোসাইন, সাকিব হাসান শান্ত, মামুন হোসাইন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, আব্দুল আলিম, মোঃ পারভেজ মিয়া সুজা, মোহাম্মাদ রিফাত মাহমুদ ভূইয়া, মোঃ মিজানুর রহমান ফরমান, রুবেল আহমেদ, মোহাম্মদ হাছানুল করিম,শেখ দেলোয়র হোসাইন, মু: কামরুল আহসান রাসেল, শহিদুল ইসলাম, মো: শরিফুল ইসলাম, মো: হাসান মোরসেদ, মো: শাহেদ আলম, মোঃ মাহফুজুর রহমান, মোঃ জামিল চৌধুরী, রাজু আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ আবিদ প্রমুখ ।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কে যুক্তরাজ্য সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির আহমেদ শাহিন, বলেন, ডাক্তারদের রিপোর্ট অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার একটা মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেছে। হাসপাতালে থাকতে থাকতেই তার আরেকটা উপসর্গ ধরা পড়ে। সেটা হচ্ছে তার সাফোকেশন শুরু হয়েছিল। শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। তখন ডাক্তাররা বিলম্ব না করে তার এনজিওগ্রাম করান। তিনি আরও বলেন, এনজিওগ্রাম করে দেখা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মেইন আর্টারিটা ৯৯ পারসেন্ট ব্লকড। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে সেখানে রিং পরানো হয়েছে। ডাক্তাররা আশাবাদী, এই ট্রিটমেন্টের ফলে তিনি আপাতত হার্টের যে সমস্যা, সেটা থেকে সাময়িকভাবে রিলিভড হয়েছেন।
যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি রহিম উদ্দিন, বলেন, দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করা হলেও সরকার সারা দেয়নি। তাকে চিকিৎসার জন্য যে বিদেশে পাঠানো দরকার নেই বলে সরকার যে সিদ্ধান্তে অটল থাকলেন সেটা সঠিক হয়নি।
সাবেক ছাত্রদল নেতা ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র বিজ্ঞ আইনজীবী, সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক বারবার নির্বাচিত সভাপতি, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, বয়োজ্যেষ্ঠ আইনজীবী এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের সাবেক জুনিয়র এডভোকেট মোঃ আমির হোসাইন সরকার বলেন, বর্তমান আওয়ামী সরকার যদিও তারা অনির্বাচিতভাবে ক্ষমতায় আছেন। তারপরও আজ আমি যুক্তরাজ্য বিএনপির এই সমাবেশ থেকে এই অনির্বাচিত সরকারকে আবারও তাদের কাছে আহ্বান জানাতে চাই, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষার জন্য দেশের বাইরে তার চিকিৎসা করার ব্যবস্থা নেওয়া হোক। অন্যথায় আমরা আবারও বলছি, সব দায় দায়িত্ব কিন্তু এই সরকারকে বহন করতে হবে।