আরিফুল ইসলাম জিমন,দিনাজপুর◊◊
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার হাটগুলোতে চিনির বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনিক নজরদারি না থাকায় চিনিসহ বিভিন্ন নিত্য পণ্যের বাজার অস্থিরতা বিরাজ করছে বলে মনে করছেন ভোক্তারা।
সরেজমিনে উপজেলার ওসমানপুর, রাণীগঞ্জ, বলগাড়ী, ডুগডুগীসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া যায়। গত ঈদুল ফিতরের পূর্বে চিনির দাম ১২০ টাকা ও ঈদের পরে ১২৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও গত শুক্রবার থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে চিনি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। গত কয়েক মাস ধরেই অস্থির চিনির বাজার যা বাজার মনিটরিং এর অভাবে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে প্যাকেটজাত ও খোলা চিনি।
এদিকে খুচরা পর্যায়ে প্রকাশ্যে খোলা বা প্যাকেটজাত চিনির দেখা না মিললেও, ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে চিনি বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, সরকার-নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে চিনি কিনতে হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, সিন্ডিকেট করে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন আমদানিকারক ও পাইকার ব্যবসায়ীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক খুচরা ব্যবসায়ীদের তথ্য মতে, ওসমানপুর বাজারের গালামাল ব্যবসায়ী অমল গত বৃহস্পতিবারে ৪০ বস্তা চিনি দোকানে মজুদ করেছেন। এছাড়াও অন্যান্য হাটের পাইকারী ব্যবসায়ীরা যদি হাজার হাজার কেজি চিনি গোপনে মজুদ করে না রাখতো তাহলে চিনির বাজারে এই অস্থিরতা কখনই হতোনা। প্রতি কেজি চিনি পাইকারদের থেকে কিনতে হচ্ছে ১২৮-১৩০ টাকায়। ফলে বেশি দামে চিনি কেনায় বাধ্য হয়েই বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। অপরদিকে চিনি সংকটে ডিলারদের অভিযোগ মিল মালিকদের ওপর।
এদিকে চিনির দাম বেড়ে যাওয়ায় পকেট কাটা যাচ্ছে ক্রেতাদের। চিনির দাম অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসা নিয়ে দিশেহারা, চা দোকান, মিষ্টি ও চিনি ব্যবহৃত বহুজাত ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। চিনির ব্যবহার কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি চা পান করাও কমিয়ে দিয়েছেন ক্রেতা ও ভোক্তারা। তারা বলছেন আগে চিনি ১১০ টাকা কেজিতে কিনলেও, এখন ১৪০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। যেভাবে হুহু করে দাম বাড়ছে, এতে চিনি খাওয়া বাদ দিতে হবে।
সাধারণ ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ও আমদানিকারকদের একসঙ্গে বসে আইনগত ভাবে পদক্ষেপ নিলেই সমস্যার সমাধান আসবে তাছাড়া নয়।
এর পূর্বে চলতি মাসের ৬ এপ্রিল আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম কমায় দেশের বাজারেও সমন্বয় করতে ৩ টাকা কমিয়ে খোলা চিনি ১০৪ ও প্যাকেটজাত চিনি ১০৯ টাকা নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে দাম কমানোর ঘোষণা দেয়ার পরদিন থেকেই হু হু করে দাম বেড়েই চলেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফিউল আলম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।