ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বহিরাগতদের নিয়ে স্থানীয় কিছু যুবক দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট বন্দরে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে মহড়াসহ ৩টি বাড়ী ও পৌরসভার গেট ভাংচুর করেছে।
গত শুক্রবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ সময় পুরো ঘোড়াঘাট বন্দরটি আতংকিত জনপদে পরিণত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, স্থানীয় ২টি যুবক দলের মধ্যে পূর্ব থেকে শত্রুতা চলে আসছিল। এরই জের ধরে শুক্রবার রাতে ১টি গ্রুপ বহিরাগতদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্র সহ পৌরসভার কালিতলা মোড় থেকে পুরাতন বাজার থানার পার্শ্ববর্তী আরসি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত উৎশৃংখল ভাবে একটি মহড়া প্রদর্শন করে। মহড়া প্রদর্শন শেষে মহড়াকারীরা শহীদ মিনারের পাশে শহিদ-ফরিদের বাড়ীর প্রধান দরজা চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে ভেঙ্গে ফেলে।
এরপর মহড়াকারীরা এস কে বাজারের বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদ মেজর বদর উদ্দিনের বাড়ীতে হামলা চালায়। এ সময় বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদ মেজর বদর উদ্দিনের স্ত্রী হামলাকারীদের নিকট আকুতি মিনতি করেও শেষ রক্ষা পাইনি। পরবর্তীতে মহড়াকারীরা কালিতলার লিলি রানীর বাড়ীতে ব্যাপক হামলা চালিয়ে ঘরের জানালা ভাংচুর করে। শুধু তাই নয় মহড়াকারীরা ঘোড়াঘাট পৌরসভার প্রধান গেট চাইনিজ কুড়াল ও বেকির আঘাতে ভাংচুর করে। এ সময় সমস্ত ঘোড়াঘাট বন্দরে সকল ব্যবসায়ীরা আতংকিত হয়ে পড়ে তরিঘড়ি করে দোকানপাট বন্ধ করে দেয়।
বিষয়টি নিয়ে রাতেই ঘোড়াঘাট থানার ওসি আবু হাসান কবিরের কক্ষে পৌর মেয়র সহ ২টি গ্রুপের নেতৃবৃন্দ দের নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্ত বৈঠকে কোনো চুড়ান্ত ফয়সালা না হওয়ায় একটি পক্ষ মামলার বিষয়ে শনিবার জানাবেন মর্মে থানা থেকে চলে আসে।
এ ব্যাপারে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আবু হাসান কবিরের সাথে তার অফিস কক্ষে কথা হলে তিনি জানান, ঘটনা সময় তিনি ডুগডুগী হাটে ঘোড়াঘাট-হাকিমপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সহ একটি বৈঠকে ছিলেন। ঘটনা সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি থানায় চলে আসেন এবং পরিবেশ সুষ্ঠ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়। তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই মামলা দেয়নি। যেকোনো পক্ষে মামলা দিলে আমি মামলা নিতে প্রস্তুত আছি। ঘটনার বিষয় নিয়ে ১টি পক্ষের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, তারা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।