নিজস্ব প্রতিবেদক◊◊
দেশে জরায়ু ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আর এই প্রাণঘাতী রোগ প্রতিরোধে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা। দ্রুততম সময়ে রোগ চিহ্নিত করা গেলে এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এ জন্য সচেতনতার পাশাপাশি রোগ চিহ্নিত করতে সারা দেশেই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ তৈরি করতে হবে। একই সঙ্গে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি করে তাদের জেলা -উপজেলায় পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে।
এরই অংশ হিসেবে রাজধানীর তেজগাঁও এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে জনসচেতনামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া সচেতনতামূলক র্যালী ও জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে ফ্রি ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় হাসপাতালের স্ত্রী ও প্রসূতি বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করে। উক্ত সেমিনারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রেজিষ্ট্রেশন করে অংশগ্রহণ করেন ১০০ জন নারী ও তরুণীরা। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত চিকিৎসক প্রফেসর ডা. এম ইউ কবির চৌধুরী, প্রফেসর ডা. মুহাম্মদ আব্দুল জলিল আনসারী,প্রফেসর ডা. এস এম মামুন ইকবাল। এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজের পরিচালকদের মধ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন তরুণ প্রতিভাবান উদ্যোক্তা আরিক ইসলাম,গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. নাহলা বারি,স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. বিলকিস পারভীন, সহকারী অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা কোহিনুর এবং আরো উপস্থিত ছিলেন ইনসেপ্টটা ফার্মাসিটিক্যাল কম্প্যানী লিমিটেড এর পক্ষ থেকে ডা. সারজিনা রহমান ও সিনিয়ার গ্রুপ ম্যানেজার মেডিক্যাল সার্ভিস বিভাগ।
প্রফেসর ডা. এম ইউ কবির চৌধুরী বলেন, জন সচেতনতা নিঃসন্দেহে সুস্থ থাকার একটি হাতিয়ার। আমি আশা করি পূর্বের ন্যায় শমরিতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এই ধরনের মহতী উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
শমরিতার পরিচালকদের পক্ষ থেকে উপস্থিত তরুণ প্রতিভা আরিক ইসলাম বলেন, প্রতিরোধ অবশ্যই প্রতিকারের চেয়ে ভালো। জরায়ু ক্যান্সার সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে এদেশে জরায়ু ক্যান্সারের হার কমিয়ে আনা সম্ভব হবে এবং সঠিক সময়ে ভ্যাকসিনেশনের মাধ্যমে একে নির্মূল করাও সম্ভব হবে।
এরআগে, গাইনী ও প্রসূতি বিভাগের উদ্যোগে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে জনসচেতনামূলক একটি র্যালি রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।