আব্দুল হালিম নিশাণ♦♦
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন মুন্সিবাগ কুতুবপুর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ভোজ্য তেল উৎপাদনের দায়ে জুয়েল নামের প্রতারককে নগদ ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
গত (৩ মে) বুধবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় ফতুল্লা কুতুবপুর এলাকায় র্যাব-১১’র একটি সক্রিয় টিম জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহযোগীতায় প্রতারক জুয়েলকে তেল বোতলজাতকরণের সময় হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, জুয়েল (৪০) পিতা অজ্ঞাত, স্থায়ী ঠিকানা মুন্সীগঞ্জ, বর্তমানে এধরনের অবৈধ সোয়াবিন ভোজ্য তেল বাজারজাতকরণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের থেকে কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়ে। ওই এলাকায় তাঁর বড় ভাই সহ তারা ৫/৬ টি বহুতল ভবনের মালিক বটে।
তাঁদের এমন অবৈধ ব্যবসা বাণিজ্য চলমান থাকলেও, এলাকার সাধারণ মানুষ মূখ ফুটে নারাজ হয়ে পড়েছেন। কারণ মানুষকে যেনে-শুনে বিএসটিআই’বিহীন অবৈধ তেল বাজারজাতকরণে লিপ্ত রয়েছেন তারা। এযেন তাঁদের রামরাত্ব কায়েম হতে চলছিল।
সুতরাং এমন ঘটনার সূত্র পেয়ে র্যাব-১১’র একটি টিম জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর সহযোগীতায়।
তাঁদের যৌথ অভিযানে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ভোজ্য তেল উৎপাদন ও অনুমোদনহীন লোগো ব্যবহার করে বাজারজাতকরণের অভিযোগে ‘পদ্মা কনজুমার এন্ড বেভারেজ কোঃ” নামক ০১টি প্রতিষ্ঠান’কে নগদ ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং বিপুল পরিমান অনুমোদনহীন ভোজ্য তেল, প্লাস্টিক বোতল, লেবেল ধ্বংস করা হয়।
এলাকাবাসীর মতে, প্রতারক জুয়েল নামের এক ব্যক্তি অবৈধ ‘পদ্মা কনজুমার এন্ড বেভারেজ কোঃ” নামক প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন যাবৎ অভিনব কায়দায় অবৈধ প্রক্রিয়ায় ভোজ্য তেল উৎপাদন ও অনুমোদনহীন লোগো ব্যবহার করে বাজারজাত করে আসছে।
বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীরা বার বার সংবাদ প্রচার ও সতার্ক করা শর্তেও। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এধরনের অবৈধ ব্যবসা বাণিজ্য রমরমা ভাবে চালিত যাচ্ছিল।এমতাবস্থায় র্যাব-১১’র জালে ধরা পরেন প্রতারক মূলহোতা জুয়েল নামের এক ব্যক্তি।
এবিষয়ে র্যাব-১১’র এএসপি মোঃ রিজওয়ান সাঈদ জিকু দৈনিক সকালের কাগজকে জানান, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক জুয়েল ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট মামলা নং-৯৭/২০২৩, ধারা-ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪২/৪৩/৪৫ একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
সুতরাং তাঁদের মতো ভেজাল খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে র্যাব-১১’র অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।