নিজস্ব প্রতিবেদক♦
১৪ আগস্ট ঢাকায় বঙ্গবন্ধু হত্যায় মাস্টারমাইন্ড হিসাবে জিয়াউর রহমানকে তুলে ধরে বক্তব্য রেখেছিলেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের কথাই বলা হচ্ছে। যিনি রাসিক মেয়র হিসাবে দায়িত্বও পালন করছেন। লিটন এখন ভারত সফর করছেন। সঙ্গে আছেন তাঁর দাম্পত্য সঙ্গী ও রাজশাহী আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহীন আকতার রেনিও।
কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাপ্তবয়স্ক অব্যাহত শিক্ষা ও সম্প্রসারণ বিভাগের আয়োজনে ‘রোল অব কমিউনিকেশন ইন মিউনিসিপ্যাল এডমিনিস্ট্রেশন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন বাংলাদেশের এই মুহূর্তের আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। যার বাবা এ এইচ এম কামারুজ্জামানও ছিলেন জাতীয় নেতা।
বুধবার বিকেলে কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কে.পি. বসু মেমোরিয়াল হলে আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান দেয়, বুধবারের সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাপ্তবয়স্ক অব্যাহত শিক্ষা ও সম্প্রসারণ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. সান্তান চট্টোপাধ্যায়।
সেমিনারে কি-নোট উপস্থাপন করেন নির্মাণ প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. প্রফেসর পার্থ প্রতীম বিশ্বাস।
সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিম ও ভিডিওগ্রাফি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. দেবজ্যোতি চন্দ ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাপ্তবয়স্ক এবং অব্যাহত শিক্ষা ও সম্প্রসারণ বিভাগের অধ্যাপক পার্থ সরাথি চক্রবর্তী।
উক্ত সেমিনারে ফলত প্রধান অতিথি হিসাবে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন কে আমন্ত্রন জানানোর নেপথ্যে ছিল, শেখ হাসিনার উন্নয়নের অভিযাত্রায় সঙ্গী হয়ে লিটনের রাজশাহী নগরকে বদলে দেয়ার কারণ হিসাবে। একজন নগর সেবক হিসাবে লিটনের কাছে কার্যত জানতে চাওয়া হয়, কিভাবে পারলেন ধুলোময় উষ্ণ শহর রাজশাহীকে বদলে দিতে ? এতটা প্রকৃতিময় করতে ?
লিটন তাঁর স্বভাবসুলভ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সেমিনারে শোনান রাজশাহীকে বদলে দেয়ার মহাকাব্য।
এদিকে এর আগে, বুধবার দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত কলকাতার বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই নেতা। এ সময় বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনজাত করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষ পরিদর্শন করেন রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকক্ষে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত খাট, চেয়ার, টেবিল ও আলমারি পরিদর্শন করেন তিনি।
অন্যদিকে বেকার হোস্টেল পরিদর্শন শেষে রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন কলকাতার যাদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষকদের হাতে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং উপাচার্যের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী তুলে দেন।
কোলকাতা সফরকালে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান জনগুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি আলোচনা সভায় অংশ নিবেন। শহরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা কার্যালয়েও যাবেন তিনি। বিশেষ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে তার সাক্ষাতের কথাও রয়েছে।