মো. মহসিন রেজা, শরীয়তপুর:
শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের গয়ঘর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সেকেন্দার খলিফার ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী দাদন খলিফা (৩০)’কে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। দাদন হত্যার ১ সপ্তাহ হয়ে গেলেও হত্যাকারীরা এখনো রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে তাই হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে শরীয়তপুর সদর উপজেলা যুবলীগের আয়োজনে জেলা যুবলীগ জেলা আওয়ামীলীগ ও নিহত দাদন খলিফার আত্বীয় স্বজনরা শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ নূহন মাদবর, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য কামরুজ্জামান উজ্জল আকন, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া, জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন তাইজুল ইসলাম সরকার, সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা মোঃ জুয়েল হোসেন, নিহত দাদন খলিফার বাবা- মা, স্ত্রী, ভাই-ভাবী আত্বীয় স্বজনসহ শতাধীক মানুষ। মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা তাদের বক্তব্যে নিহত দাদন খলিফার খুনীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করেন। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এছাড়া নিহত দাদন খলিফার মৃত্যুর জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যেরত চিকিৎসকদের অবহেলাকেও দায়ী করেন দাদন খলিফার আত্বীয় স্বজনরা। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের অবহেলার বিষয়ে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মুনির আহমেদ খান বলেন, এধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি তবে গত ১৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে ডিউটিতে কোন চিকিৎসক ছিলো আমি তা খতিয়ে দেখছি। উল্লেখ্য, ১৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার গয়ঘর খলিফাকান্দি নুরুল হক খলিফার বাড়ির মসজিদের সামনে থেকে ধরে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে আহত দাদনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করে চিকিৎসক, ঢাকা নেয়ার পথে পোস্তগোলায় শুক্রবার মৃত্যু হয় প্রবাসী দাদন খলিফার। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গয়ঘর গ্রামের ইদ্রিস খার সঙ্গে নিহত দাদনের বাবা সেকেন্দার খলিফার দন্দ্ব চলে আসছিলো তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নামাজ শেষে বের হয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী ইদ্রিস খা, এসকান্দার সরদার দলবলসহ ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে দাদনকে এলোপাথারীভাবে কোপাতে থাকে। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। দাদনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দাদনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। হত্যায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।