সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের শীর্ষ এক নেতার আশির্বাদে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবীরের ছেলে নব্য আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী তানজিম কবির সজিব ওরফে সজু। একাধিক মামলার আসামী সজু সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির নেতা হুমায়ুন কবীরের ছেলে। সজু নিজেও ছিল বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। গত নির্বাচনের জাতীয় সংসদস নির্বাচনের পূর্বে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের শীর্ষ এক নেতার শেল্টারে গিয়ে বনে গেছে নব্য আওয়ামীলীগার। এসপি হারুন নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার থাকা কালে গ্রেফতারের ভয়ে দীর্ঘদিন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ছিল বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সন্ত্রাসী সজুর পিতা বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবীর এলাকার ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত। বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবীর ও তার ছেলে সন্ত্রাসী সজুর অত্যাচারে মিজমিজি পূর্ব পাড়া ও কদমতলী উত্তরপাড়া এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। মিজমিজি পূর্ব পাড়া ও কদমতলী উত্তরপাড়া এলাকাবাসী বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবীরকে বোবা ডাকাত হিসেবে চেনন। হুমায়ুন কবীর ও সজুর সাথে মিজমিজি পূর্ব পাড়া ও কদমতলী উত্তরপাড়া অর্ধ শতাধিক বাড়ির মালিকদের (যারা বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে বাড়ি করেছেন) সাথে রয়েছে জমি নিয়ে বিরোধ। ২৮ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার মিজমিজি পূর্বপাড়া এলাকার জিয়া নামে কাপড় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত করে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিএনপির নেতা হুমায়ূন কবীরের মালিকানাধীন মুড়ি ফ্যাক্টরীর সামনে কাপড় ব্যবসায়ী জিয়াকে পিটিয়ে আাহত করে সন্ত্রাসী সজুর নেতৃত্বে তার লোকজন। আহত অবস্থায় জিয়াকে প্রথমে স্থানীয় আলিফ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ভিক্টোরীয়া হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। সেখানে জিয়ার অবস্থান অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয় । এদিকে কাপড় ব্যবসায়ী জিয়া এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে জানিয়েছেন তার বড় ভাই মোশাররফ হোসেন। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কাপড় ব্যবসায়ী জিয়ার ভাই মোশাররফ হোসেন। আহত ব্যাবসায়ী জিয়া সাংবাদিকদের জানান, সকালে দোকানে যাবার উদ্দেশ্যে বিএনপির হুমায়ূন কবীরের মালিকনাধীন মুড়ি ফ্যাক্টরীর সামনে দিয়ে যাবার সময় হুমায়ূন কবীর ও তার ছেলে সজু কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই আমার উপরে হামলা চালায়। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। আমি এ ঘটনার ন্যায় বিচার চাই। এ বিষয়ে কথা হলে সজু বলেন, আমি শুধু একটা থাপ্পর দিয়েছি মাত্র। সে বিদেশী (যারা বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে বাড়ি করেছেন) হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে চোখ রাঙ্গিয়ে কথা বলেছেন। তাই তাকে থাপ্পর দিয়েছি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মশিউর রহমান (পিপিএম) বলেন, হমালার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সন্ত্রাসী যে দলের-ই হোক না কেন ছাড় পাবে না।